শিরায় ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার স্যালাইনের নাম,কাজ ও এর ব্যবহার কীভাবে করবেন ।
আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে শরীরে স্যালাইন দিতে হয় । যেমন : (১)শরীরের দুর্বলতার কারনে। (২) খেতে না পারলে বা অরুচি হলে । (৩) শরীরের পুষ্টির অভাব পূরনের জন্য । (৪) রক্তচাপ কমে গেলে। (৫) রক্তে খনিজ লবনের পরিমাপ কমে গেলে । (৬) হাইপোভলিউমিক শক হলে । (৭) ডায়রিয়া হলে ,ইত্যাদি আরোও অনেক কারনে স্যালাইন দিতে হয় ।
এই আর্টিকেলে আমরা জানবো । (I/V) শিরায় ব্যবহৃত (৮) আট প্রকার স্যালাইনের নাম,ব্যবহার ও এর কাজ সম্পর্কে । যেই স্যালাইন গুলো আমরা প্রায় সময় ব্যবহার করে থাকি । যারা মেডিকেল পেশাই জড়িত আছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুব বেশী উপকারে আসবে ।
- ৫% ডি.এ ( ডেক্সট্রোজ ইন এ্যকুয়া ) - রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমে গেলে , দুর্বলতায়, খেতে না পারলে বা অরুচি হলে এবং পুষ্টির জন্য দেয়া হয় ।
- ১০% ডি.এ ( ডেক্সট্রোজ ইন এ্যকুয়া ) রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমে গেলে , দুর্বলতায়, খেতে না পারলে বা অরুচি হলে এবং পুষ্টির জন্য দেয়া হয় ।
- ৫% ডি.এন ( ডেক্সট্রোজ ইন নরমাল স্যালাইন ) বার বার বামি করলে , রক্তচাপ কমে গেলে, শরীর থেকে অতিরিক্ত লবন পানি বেরিয়ে গেলে ( অতিরিক্ত ঘাম হলে), রক্তে খনিজ লবনের পরিমান কমে গেলে ইত্যাদি ক্ষেতে দেয়া হয় ।
- নরমাল স্যালাইন- রক্তচাপ কমে গেলে, শরীর থেকে অতিরিক্ত লবন - পানি বেরিয়ে গেলে ( অতিরিক্ত ঘাম হলে ) , রক্তে খনিজ লবনের পরিমান কমে গেলে ইত্যাদি কারনে দেওয়া হয় ।
- কলেরা স্যালাইন - ডায়রিয়া হলে , রক্তে খনিজ লবনের পরিমান কমে গেলে ইত্যাদি ক্ষেতে দেওয়া হয়
- হার্টম্যান’স সলিউশন - রক্তক্ষরণ হলে, হাইপোভলিমিক শক হলে দেয়া হয় ।
- রিংগার’স ল্যাকটেট সলিউশন - রক্তক্ষরণ হলে, হাইপোভলিউমিক শক হলে দেয়া হয় ।
- বেবী স্যালাইন-বাচ্চাদের জন্য ডায়রিয়া হলে দেওয়া হয় ।
বিঃদ্রঃ
- ডায়াবেটিস থাকলে ডি.এ এবং ডি.এন.এস দেওয়া যাবে না । নরমাল স্যালাইন দেওয়া যাবে ।
- উচ্চ রক্তচাপ থাকলে লবনযুক্ত স্যালাইন, যেমন - ডি.এন.এস নরমাল স্যালাইন ইত্যাদি দেওয়া যাবে না । সে ক্ষেতে প্রয়োজনে ডি.এ দেয়া যাবে ।
বিঃদ্রঃ
- যেকোনো ওষুধ এবং যেকোনো হেলথ রিলেটেড বিষয় অবশ্যই রেজিস্ট্রেট চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন এবং তা পালন করবেন (ধন্যবাদ)
প্রযুক্তি মেলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url