মোবাইল ফোন হ্যাক হয় কি কি মাধ্যমে? এবং তার প্রতিরোধে করণীয় কি ?
মোবাইল ফোন হ্যাক করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলো সাধারণত অবৈধ এবং অনৈতিক। তবে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কিছু সাধারণ পদ্ধতির উল্লেখ করা হলো:
1. **ফিশিং সাইট (Phishing):**
ম্যালিসিয়াস লিংক বা ইমেইল পাঠিয়ে ব্যবহারকারীকে প্রতারণা করা হয়। লিংকে ক্লিক করলে ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। ইন্টারনেটে ফিশিং বলতে প্রতারণার কিরে অনলাইনের মাধ্যমে কারো কাছ থেকে সেই ব্যাক্তির ব্যক্তিগত সকল পারসোনাল ইনফরমেশন /তথ্য, যেমন: সেই ব্যাক্তির নাম মোবাইল/কম্পিউটারে থাকা সকল পাসওয়ার্ড, ও ক্রেডিট কার্ডের যাবতিয় সকল তথ্য - ইত্যাদি আরোও অনেক কিছু সংগ্রহ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। ফিশিং সাইট দিয়ে প্রতারকরা এইসকল পদ্ধতিতে যেকোনো অতিপরিচিত/সুপ্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট সেজে মানুষের কাছ থেকে তার সকল তথ্য চুরি করে থাকে।
2. **স্পাইওয়্যার (Spyware):**
কোনো অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে স্পাইওয়্যার যুক্ত করা থাকতে পারে, যা ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে। স্পাইওয়্যার ( গুপ্তচরবৃত্তির সফ্টওয়্যারগুলির জন্য একটি পোর্টম্যানটিউ ) হল এমন কোনও সফ্টওয়্যার যা দূষিত আচরণের সাথে একটি ব্যক্তি বা সংস্থার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে অন্য সত্তাকে এমনভাবে পাঠায় যা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে, তাদের ডিভাইসের নিরাপত্তা বিপন্ন করে বা অন্যান্য উপায়ে ক্ষতি করে ৷
3. **ম্যালওয়্যার (Malware):**
ম্যালওয়্যার ইনস্টল করিয়ে ফোনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ফোনের ডেটা অ্যাক্সেস করা যায়। ম্যালওয়্যার (malware) হল ইংরেজি malicious software (ক্ষতিকর সফটওয়্যার) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এ হল একজাতীয় সফ্টওয়্যার যা কম্পিউটার অথবা মোবাইল এর স্বাভাবিক কাজকে ব্যাহত করতে, গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে, কোনো সংরক্ষিত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে বা অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন দেখাতে ব্যবহার হয়।
4. **ফ্রিকিং (Freaking):**
ফোনের নেটওয়ার্কে আক্রমণ করে কল বা মেসেজ মনিটর করা হয়। ফ্রিক , ফ্রিক , ফ্রিক , ফ্রেক্স , ফ্রিক্স , বা ফ্রেক্সের সাথে বিভ্রান্ত হবেন না। ফ্রিকিং হল একটি অপবাদ শব্দ যা এমন লোকদের সংস্কৃতির কার্যকলাপকে বর্ণনা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে যারা টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম, যেমন পাবলিক টেলিফোন নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত যন্ত্রপাতি এবং সিস্টেমগুলি অধ্যয়ন করে, পরীক্ষা করে বা অন্বেষণ করে।
5. **ব্লুটুথ হ্যাকিং (Bluetooth Hacking):**
ব্লুটুথের মাধ্যমে ফোনে প্রবেশ করা হয়। Bluesnarfing হল একটি ব্লুটুথ সংযোগের মাধ্যমে একটি বেতার ডিভাইস থেকে তথ্যের অননুমোদিত অ্যাক্সেস , প্রায়শই ফোন, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ এবং PDAs ( ব্যক্তিগত ডিজিটাল সহকারী ) এর মধ্যে।
6. **ফিজিক্যাল এক্সেস (Physical Access):**
ফোনের সরাসরি অ্যাক্সেস নিয়ে স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়্যার ইনস্টল করা হয়। শারীরিক অ্যাক্সেস কম্পিউটার নিরাপত্তার একটি শব্দ যা একটি কম্পিউটার সিস্টেমে শারীরিকভাবে অ্যাক্সেস লাভ করার ক্ষমতাকে বোঝায়।
মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধের উপায়:
১/ **অজানা লিংকে ক্লিক না করা:**
ফিশিং এড়াতে অজানা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
২/ **অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা:**
ফোনে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করুন।
৩/ এগুলো মেনে চললে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়।
৪/**মজবুত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা:
** শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এবং দুই স্তরের প্রমাণীকরণ (2FA) ব্যবহার করুন।
৫/**রেগুলার আপডেট করা:**
ফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশন আপডেট রাখুন।
৬/**বিশ্বস্ত সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা:**
শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
আবারো বলি, এই হ্যাকিং সাইট গুলো সাধারণত অবৈধ এবং অনৈতিক। তবে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কিছু সাধারণ পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে । আশা করি প্রযুক্তি মেলার সকল অডিয়েন্স এটাকে সচেতনতা মূলক পোষ্ট হিসেবে বিবেচনা করবে এবং ভালো কাজে লাগাবেন ।
প্রযুক্তি মেলার সাথে যুক্ত থাকতে ফলো করুণ আমাদের সকল সোসাল সাইট ( ধন্যবাদ)
প্রযুক্তি মেলার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url